December 22, 2024, 9:04 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে তার ৭৪তম জন্মদিন পালন করলো কুষ্টিয়া জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ। শুক্রবার (২ অক্টোবর) কুষ্টিয়া মজিবুর রহমান ডায়াবেটিক মোমোরিয়াল হাসপাতালে আয়োজিত জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি অডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্ধোধন করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ডা: এস এ মালেক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ও সরকারী সংবাদ সংস্থা বাসসের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিকী।
কুষ্টিয়া জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মতিউর রহমান লাল্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও বিশ^বিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিন, কুষ্টিয়া জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক, দৈনিক কুষ্টিয়া ও দি কুষ্টিয়া টাইমসের সম্পাদক ও প্রকাশক ড. আমানুর আমান, মজিবুর রহমান ডায়াবেটিক মোমোরিয়াল হাসপাতালের সাধারন সম্পাদক মুশফিকুর রহমান টর্লিন।
বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সোনালী ব্যাংক শাখার সভাপতি মুকুল হোসেন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ, আগ্রণী ব্যাংক শাখার সাধারন সম্পাদক সাইফুর রহমান সুমন,।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক সামসুর রহমান বাবু।
উদ্ধোধনী বক্তৃতায় ডা: এস এ মালেক বলেন শুধু জাতির জনকের কন্যা বলে নয়, নিজগুণে শেখ হাসিনা আজ বিশ^ দরবারে একজন প্রতাপশালী ও প্রশংসিত নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে যে দীর্ঘ এক নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে অবদান রেখে চলেছেন সেটি যে কোন দেশের জন্যই অনুকরণীয়। তিনি তার পিতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সফল হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ডা: মালেক।
ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিকী তার বক্তৃতায় হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন সামাজিক, ভু-রাজনৈতিক সবদিক থেকেই বাংলাদেশকে নিরাপদে রাখার পুরো কৃতিত্ব শেখ হাসিনার। তিনি নিছক জন্মদিন পালন না করে বরং এই জন্মদিনে হাসিনার কর্মময় জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের উন্নয়নে সবাইকে অগ্রগামী হবার অনুরোধ জানান।
আতাউর রহমান আতা বলেন শেখ হাসিনা শুধু একজন প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি জাতির পিতার মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া এদেশের মানুষের আশা-ভরসার একমাত্র আশ্রয়স্থল। তিনি চলমান করোনা মোকাবেলায় শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিন বলেন বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া অসামাপ্ত কাজ করছেন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, এখন শেখ হাসিনার সাথে কাজ করতে হবে আমাদের। সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তা সফল করতে সবাইকে দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
ড. আমানুর আমান তার বক্তৃতায় বলেন শেখ হাসিনা অনেকগুলো গুণের কারনে বর্তমানে বিশ^ নেতৃত্বের কাতারে অন্যতম এক নক্ষত্র। তিন মানবতাবাদী একজন নেতা যা ছিল তা পিতা বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর অন্যতম বৈশিষ্ট। তিনি পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে অতি দ্রæততার সাথে যে সমৃদ্ধির সিঁড়িতে তুলে দিয়েছেন সেটিও বিশে^ নজীরবিহীন।
সভাপতির ভাষণে মতিউর রহমান লাল্টু বলেন কোন ষড়যন্ত্রই হাসিনাকে রুখতে পারবে না। কোন কিছুই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বাংলাদেশ সমৃদ্ধির শিখরে গিয়ে পৌঁছাবেই। তিনি সবাইকে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান।
Leave a Reply